হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:

রামুর গর্জনিয়ার বেলতলী কৃষি সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক পরিবর্তনের খবরে কৃষকের মূখে হাসি ফুটেছে। এর আগে এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন মো.শাহজাহান। তার বিরুদ্ধে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি কৃষক, সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সর্বমহলের অনুরোধে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিনকে বেলতলী কৃষি সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক করে সেচ কমিটি অনুমোদন দেন। বিএডিসির এক সহকারি প্রকৌশলি ব্ষিয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর এ খবরে সংশ্লিষ্ট কৃষক এবং জমির মালিকের মুখে হাসি ফুটেছে। ১২০টি কৃষি পরিবার ওই কৃষি সেচ প্রকল্প থেকে পানি সরবরাহ করেন।

কৃষক জসিমউদ্দিন বলেন, শাহজাহান ছিলেন পার্বত্য জেলার বাসিন্দা। তিনি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ব্যবস্থাপক পদে ছিলেন। সে টাকা বেশি দাবি করে কৃষকদের হয়রানি করতেন। এখন নুরুল আমিন ব্যবস্থাপক হওয়াতে কৃষকেরা উপকৃত হবে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম বলেন, বেলতলী কৃষি সেচ প্রকল্পের কৃষকেরা এখন ঐক্যবদ্ধ। তারা অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত।

তবে ফের শাহজাহান ওই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো.কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শাহজাহান তাঁকেসহ (ইউপি সদস্য) অনেক নিরহ কৃষককে হুমকি দিচ্ছে। সম্প্রতি শাহজাহানের হয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা শের আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। ইউপি সদস্য কামালের দাবি, বিএনপি নেতা শের আলম সরকারদলীয় স্থানীয় সাংসদসহ অনেক নেতাকর্মীকে গালমন্দও করেছে।

এদিকে প্রকল্পের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপক মো.নুরুল আমিন বলেন, ইতোমধ্যে বাঁকখালী নদীর পাশে নতুন মটর পাম্প স্থাপন করে কৃষি সেচ প্রকল্প সচল করা হয়েছে। এখন জমিতে পানি সরবরাহ চলছে।